OrdinaryITPostAd

পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ

পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সমূহ নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। বিভিন্ন কারণবশত পালস রেট কমে যেতে পারে। পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে রাখলে, আশা করি আপনি উপকৃত হতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ কাজ সমূহ সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে জেনে রাখলে খুব সহজেই সেই কারণগুলো দূরীভূত করার মাধ্যমে পালস রেট স্বাভাবিক করতে পারবেন। 

যাইহোক নিচে পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে। সেই সাথে এই আর্টিকেলটিতে, পালস রেট বেশি হওয়ার কারণ এবং পালস বেশি হলে কি হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

পালস রেট কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। এই কারণসমূহের কারণে পালস রেট কমে যায়। যে সকল কারণে পালস রেট কমে যায় সেগুলো নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলো। আশা করি নিম্নবর্নিত তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে। পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সমূহ নিম্নরূপ। 
  • বার্ধক্যবশত হার্টের টিস্যুর দুর্বলতা।
  • হৃদ রোগের কারণে হার্টের দুর্বলতা।
  • হার্ট সার্জারির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে।
  • থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার কারণে।
  • শরীরে পুষ্টির ঘাটতির কারণে।
  • স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে।
  • প্রদাহজনিত রোগের কারণে।

পালস রেট বেশি হলে করণীয়

পালস রেট বেশি হলে করণীয় কাজগুলো যথাসময়ে করতে পারলে খুব সহজেই আপনি আপনার পালস রেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। পালস রেট বেশি হলে করণীয় কি কি? সে সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলে এই অংশটি আপনাকে মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। তাহলে দেরি না করে আসুন দেখে নেয়া যাক,  পালস রেট বেশি হলে করণীয় কি? 
পালস রেট বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই পালস রেট সর্বদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। যাইহোক যদি কোন কারনে, পালস রেট বৃদ্ধি পায়, সে ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন। নিচে উল্লেখিত পালস রেট বেশি হলে করণীয় কাজসমূহ যথাযথভাবে করতে পারলে, আশা করা যায় আপনার নরমাল পালস রেট নরমাল হয়ে যাবে। পালস রেট বেশি হলে করণীয় কাজ সমূহ নিম্নরূপ। 

আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো করতে পারেন তাহলে আপনার পাল রেট আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কেননা পালস রেট কমানোর যে সকল পদ্ধতির নিচে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো বিজ্ঞানসম্মত ও প্রমাণিত পদ্ধতি। তাই যথাযথভাবে নিচে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার পালসের স্বাভাবিক করতে পারবেন। 
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  • উত্তেজক ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।
  • অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখুন।
  • সব ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
  • মাঝে মাঝে বাহিরে ঘুরতে যান।

পালস রেট নির্ণয়

ঘরে বসে নিজে নিজে পালস রেট নির্ণয় করতে চাইলে, আপনাকে জানতে হবে কিভাবে পালস রেট নির্ণয় করতে হয়? পালস রেট নির্ণয় করার পদ্ধতি জানা থাকলে নিজে নিজেই পালস রেট নির্ণয় করতে পারবেন। কোন ধরনের যন্ত্রপাতি বা অক্সিমিটার ছাড়াই পালস রেট নির্ণয় করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনার একটি ঘড়ির প্রয়োজন হবে। ঘড়ি দেখে দেখে খুব সহজেই আপনি, পালস রেট নির্ণয় করতে পারবেন। 

ঘড়ি দেখে পালস রেট নির্ণয় করার জন্য আপনার সামনে ঘড়িটি রাখুন। এর পরে আপনার বাম হাতের তালু উপরের দিকে রেখে কে সমানভাবে ধরে রাখুন। এরপরে তর্জনী  ও মধ্যমা একই সাথে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচ বরাবর কবজির নিচে স্থাপন করুন। আঙ্গুল সমূহ স্থাপন করার পরে আপনি পালস অনুভব করতে পারবেন। 

যখন আপনি পালস অনুভব তখন ঘড়ির দিকে তাকান, এরপর ৬০ সেকেন্ডে গণনা করুন আপনার কতবার আপনার পালস উঠানামা করছে। এক মিনিটে যতবার আপনি পালস অনুভব করতে পারবেন সেটি হলো আপনার পালস রেট। ঘরে বসে কিভাবে খুব সহজেই আপনি,পালস রেট নির্ণয় করতে পারেন, আশা করি তা জানতে পেরেছেন। 

পালস রেট বেশি হওয়ার কারণ

পালস রেট বৃদ্ধি পাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছেন। পালস রেট যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই তা দুশ্চিন্তার কারণ। বহুদিন ধরে যদি এই ধরনের সমস্যা চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। যেহেতু হার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই ব্যাপারে অবহেলা করার সমীচীন নয়। 
আপনি যদি পালস রেট বেশি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে তথ্য জেনে রাখেন তাহলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন। ইতোমধ্যেই উপরে, পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এখানে, পালস রেট বেশি হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। পালস রেট বেশি হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন। পালস রেট বেশি হওয়ার কারণ সমূহ নিম্নরূপ। 

নিচে যে সকল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সেই কারণগুলোর কারণেই সাধারণত পালসেট বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার পালস রেট নরমাল করতে চান সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত কারণগুলোকে আপনার শরীর থেকে নির্মূল করতে হবে। অর্থাৎ পালস রেট বৃদ্ধি করার নিয়ামক কারণগুলো দূর করতে পারলে আপনি আপনার পালস রেট স্বাভাবিক করতে পারবেন। 
  • জ্বর।
  • অত্যাধিক পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করা।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করা।
  • ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে।
  • অনেক সময় ধরে ভারী ব্যায়াম করা।
  • দুশ্চিন্তা করা।
  • ধূমপান করা।
  • কোনো কারণে ভয় পাওয়া।

পালস বেশি হলে কি হয়

পালস বেশি হলে কি হয়, এই ধরনের প্রশ্ন যদি আপনার মনে উদ্রেগ হয়ে থাকে। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। কেননা নিচে, পালস বেশি হলে কি হয়, সে সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হবে। পালস বেশি হলে কি হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, পালস বেশি হলে কি হয় সেই ব্যাপারে বিস্তারিত। 
আপনার পালস রেট যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে পালস রেট থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার উচিত হবে, পালস রেট নিয়ন্ত্রণে রাখা। যদি দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের সমস্যা অব্যাহত থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

উপসংহার

পালস রেট কমে যাওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। হার্টের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি যদি আপনার নিকটে পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সকলের সাথে শেয়ার করেন তাহলে তারাও নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪