কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? এটি বুঝার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যদি আপনার ব্লাড প্রেসার হাই অথবা নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? এর লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? তা জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই
- কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই
- ব্লাড প্রেসার হাই হলে করণীয়
- হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
- ব্লাড প্রেসার হাই হলে কি খাওয়া উচিত
- শেষ কথা
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই - ব্লাড প্রেসার হাই হলে বোঝার উপায়
আমাদের অনেকের একটি প্রধান সমস্যা থাকে হাই ব্লাড প্রেসার। বিশেষ করে অতিরিক্ত ওজনের মানুষদের মাঝে হাই ব্লাড প্রেসার বেশি দেখা যায়। আমরা যদি ব্লাড প্রেসার হাই হলে বোঝার উপায় সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই সে সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও অসংক্রমণ জাতীয় রোগগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে যেমন উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের সাধারণত কোন ধরনের লক্ষণ থাকে না। উচ্চ রক্তচাপের অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেসার রোগীর শারীরিক কষ্ট থাকে না। সেজন্য এই রোগ হওয়ার আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেসার জটিলতা যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
হাই ব্লাড প্রেসারের সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ না থাকায় হাই ব্লাড প্রেসার বোঝার কোন উপায় নেই তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলোকে ব্লাড প্রেসার হাই হলে বোঝার উপায়।
১। হাই ব্লাড প্রেসার হলে প্রচন্ড পরিমানে মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। হাই ব্লাড প্রেসার হলে মাথা গরম হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরানোর সমস্যা দেখা যায়।
৩। বমি বমি ভাব এবং মাঝেমধ্যে বমি হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৪। হাই ব্লাড প্রেসার হওয়ার ফলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে।
৫। অল্পতে রেখে গেলে হাই ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা হয় এবং শরীর কাঁপতে থাকে।
৬। হাই ব্লাড প্রেসার এর অন্যতম আরো একটি লক্ষণ হলো রাতে ভালোভাবে ঘুম না হওয়া।
৭। মাঝেমধ্যে কানে শব্দ হওয়া অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মত সমস্যা হয়।
ব্লাড প্রেসার হাই হলে করণীয়
ব্লাড প্রেসার হাই হলে করণীয় জানা থাকলে এখান থেকে আমরা খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারবো। আমাদের যাদের অতিরিক্ত ওজন সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার হাই এ ধরনের সমস্যাটি দেখা যায়। হাই ব্লাড প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের বেশ কিছু করনীয় রয়েছে। ব্লাড প্রেসার হাই হলে করণীয় গুলো বিস্তারিত জেনে নিন।
১। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিতে হবে।
২। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
৩। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
৪। ধূমপান ত্যাগ করে দিতে হবে।
৫। একেবারে দুশ্চিন্তা করা যাবে না।
৬। রক্তে কোলেস্টেরল যেন না বাড়ে সেই জন্য ডিম, মাখন, খাসির মাংস, গরুর মাংস থেকে দূরে থাকতে হবে।
৭। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে হবে।
৮। শরীরে যেন মেদবৃদ্ধি না পাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৯। ওজন যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
১০। হাই ব্লাড প্রেসার একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয় তাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় - হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
যাদের হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে সাধারণত তারা হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায় খুঁজে থাকে। হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে আমাদের অবশ্যই হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে সেখান থেকে মুক্তি পেতে হবে। ইতিমধ্যেই কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? এ বিষয়গুলো আপনাদের জানিয়েছি। এখন হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ একাকীত্ব নিয়ে স্ট্যাটাস - একাকীত্ব নিয়ে কবিতা
- মানসিক চাপ কমাতে হবে
- ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে
- ধূমপান ত্যাগ করতে হবে
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবেনা
- নিয়মিত শরীর চর্চা
- খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
১। মানসিক চাপ কমাতে হবেঃ হাই ব্লাড প্রেসারের অন্যতম একটি কারণ হল অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শরীরের পেশিগুলোকে চাপের মুখে ফেলে দেয় যে কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাই প্রথম কাজ হল মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া।
২। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবেঃ হাই ব্লাড প্রেসার এর অন্যতম একটি কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন। অতিরিক্ত চর্বি এবং ওজন থাকলে শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাই যদি এখান থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩। ধূমপান ত্যাগ করতে হবেঃ উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো ধূমপান। যারা অতিরিক্ত ধূমপান করে সাধারণত তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলে অবশ্যই ধূমপান থেকে মুক্ত থাকুন।
৪। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবেনাঃ আমাদের মধ্যে অনেকের অভ্যাস রয়েছে খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া। অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে। খাবারের সঠিক মাত্রার লবণ ব্যবহার করলে তা হাই প্রেসার এর ঝুঁকি কমায়। তাই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
৫। নিয়মিত শরীর চর্চাঃ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। নিয়মিত শরীর চর্চা ও পরিশ্রমে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। যার ফলে শরীর সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৬। খাদ্য তালিকায় পরিবর্তনঃ অনেক সময় আমাদের খাদ্য তালিকার কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। খাবারের তালিকায় যদি অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার থাকে তাহলে হাই প্রেসার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার সঙ্গে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খেলেও বাড়তে পারে হাই ব্লাড প্রেসার। তাই খাবার তালিকায় অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে
ব্লাড প্রেসার হাই হলে কি খাওয়া উচিত
ব্লাড প্রেসার হাই হলে কি খাওয়া উচিত? জানা থাকলে এ খাবারগুলো খেলে আমরা খুব সহজেই আমাদের আশেপাশে পেয়ে যাব। যদি ব্লাড প্রেসার হাই থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত। চলুন ব্লাড প্রেসার হাই হলে কি খাওয়া উচিত? তা জেনে নেওয়া যাক।
যে সকল খাবার খেলে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পায় সেগুলো বাদ দিয়ে বেশ কিছু উপকারি খাবার যুক্ত করতে হবে। প্রতিদিন তাজা ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, পেয়ারা, আমলকী, আপেল, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে সবুজ শাকসবজি যেমন পালংশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পাটশাক, বাঁধাকপি, লাউ, মটরশুঁটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, কুমড়া, ফুলকপি, টমেটো, শসা, মুলা, ইত্যাদি। খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারলে হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাধারণত ডাবের পানি, কলা, টমেটোসহ কিছু সবজিতে পটাশিয়াম রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শরীর দূর্বলতার ঔষধ - শরীর দূর্বল হলে কি খেতে হয়
এ ছাড়া হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে বাদাম, শালগম, তিসি, ডার্ক চকলেট ও কালিজিরা ভালো কাজ করে। এছাড়া খাদ্য তালিকায় অবশ্যই বেশি বেশি শাকসবজি রাখতে হবে। শাক সবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা ব্লাড প্রেসার কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই অবশ্যই খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখুন।
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাইঃ শেষ কথা
কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্লাড প্রেসার হাই? ব্লাড প্রেসার হাই হলে কি খাওয়া উচিত? হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর উপায়, ব্লাড প্রেসার হাই হলে করণীয়, ব্লাড প্রেসার হাই হলে বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় ধন্যবাদ।১৬৮৩০
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url